নিজস্ব প্রতিবেদক 

রূপগঞ্জের তারাব এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জোড়া খুনের প্রধান আসামী জুনায়েদ র‍্যাব-১১ , সদর কোম্পানি, নারায়ণগঞ্জ এবং র‍্যাব-১০, সিপিসি-৩,  ফরিদপুর এর যৌথ অভিযানে গ্রেফতার।  বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র‍্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র, মাদক উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর হত্যা এবং বিভিন্ন আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধীদের দ্রæততম সময়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে র‍্যাব ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১১ গত ০৫ আগষ্ট ২০২৪ তারিখ হতে অদ্যবধি দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন অভিযানে চাঞ্চল্যকর অপরাধী ৪৯ জন, হত্যা মামলায় ৬৪ জন গ্রেফতার, ধর্ষণ মামলায় ৩১ জন গ্রেফতার, অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় ০৭ জন গ্রেফতারসহ ৭৮ টি অস্ত্র, ১২৬৫ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার এবং ২১৫ জন এর অধিক মাদক কারবারি গ্রেফতারসহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে র‌্যাব-১১। পাশাপাশি ৩৫ জন অপহরণকারী গ্রেফতারসহ ২৩ জন ভিকটিম উদ্ধার এবং ছিনতাইকারী ও ডাকাত ৪৪ জন, জেল পলাতক ৩৩ জনসহ অন্যান্য অপরাধী প্রায় ২১৪ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে র‌্যাব-১১ জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। 

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার বিকাল আনুমানিক ০৩:০০ ঘটিকার সময় তারাব পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের পুরান বাজার এলাকায় শিমুল গ্রুপ ও শ্রাবণ গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। উভয় গ্রুপের সদস্যরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এই সংঘর্ষের সময় শিমুল গ্রæপের লোকজন তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষের হৃদয় ও রাশেদুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে আহত করে। পরে তাদেরকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ইং তারিখ দুপুর আনুমানিক ০১:০০ ঘটিকার সময় দুই কিশোর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। নিহত কিশোর রাশেদুল ইসলাম (১৮) তারাব দক্ষিণ এলাকার আমির হোসেনের ছেলে এবং হৃদয় (২০) রাজু মিয়ার ছেলে। এরই প্রেক্ষিতে নিহত হৃদয়ের চাচা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে রুপগঞ্জ থানায় একটি নিয়মিত হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নৃশংস এই হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ এর একটি চৌকশ গোয়েন্দা টীম যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে তাদের অবস্থান সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতারের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে জোড়া খুনের প্রধান আসামী জুনায়েদ হোসেন (২২), পিতা-রাজু মোল্যা, সাং-তারাব উত্তরপাড়া, থানা-রুপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ’কে সনাক্ত ও তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে র‌্যাব-১১, সদর কোম্পানি, নারায়ণগঞ্জ এবং র‌্যাব- ১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর এর যৌথ অভিযানিক দল ১১/০৩/২০২৫ ইং তারিখ ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার রসুলপুর এলাকায় হতে আসামী’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। 

গ্রেফতারকৃত আসামী’কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।